আমি জন্মদিন পালনের বিপক্ষে সে–ই প্রথম থেকে
.
শুধু যে নিজের জন্যে বিপক্ষে তা নয়। প্রত্যেক মানুষের জন্মদিন পালনের বিপক্ষে আমি
.
জন্মদিন পালন বেপারটা—ই কেমন যেন "অহেতুক" কাজ
.
ভাই, আমাদের জন্ম-ই হয়েছে মৃত্যুর প্রয়োজনে। আমরা সবাই একটা সময় বেঁধে নিয়ে এসেছি, সেটা হতে পারে ১০০ বছর, ৫০ বছর কিংবা ২৫ বছর। তার কাউন্টডাউনও শুরু হয়েগেছে...
.
আমার বয়স যত বাড়ছে আমি মৃত্যুদিকে তত এগিয়ে যাচ্ছি। তা নিয়ে শোকাহত হওয়ার কথা। আমার বেঁধে দেওয়া সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে...
.
ফুর্তি, পার্টি, কেক কাটা, হৈ-হুল্লোড় করে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
.
মৃত্যু আপনার কাছে ভয়ের নয়
.
নাকি খোদ মৃত্যুকে অস্বীকার করবেন। অস্বীকার করতে তো পারবেন না। কারণ, আপনি অস্বীকার করলে—ই তো আর তা আটকে থাকবে না। আপনাকে বেঁধে দেওয়া সময় ফুরালে–ই তার চাক্ষুষ প্রমাণ পেয়ে যাবেন।
.
নবিজী ﷺ -এর জন্মদিন নিয়ে খুব হৈ-হুল্লোড় হয়।
.
কিন্তু নবী নিজে
কিংবা তার কোনো সাহাবী অথবা কোনো তাবেঈ
অথবা কোনো তাবে তবেঈ
তাঁরা কেউ নবিজী ﷺ -এর জন্মদিন আয়োজন করে পালন করেছেন বলে কোনো বিশ্বস্ত তথ্য কোনো আলিম পাননি।
.
কিছু সূত্র থেকে জানা যায়, সাহাবীরা (রাদ্বি.) নবিজী ﷺ -এর জন্মদিন উপলক্ষে একসাথে বসে তাঁর সিরাত আলোচনা করতেন। উনার জীবনী অধ্যয়ন করতেন।
.
তাদের অনুসারী হিসেবে আমাদেরও তো তাই করা উচিৎ
.
হৈ-হুল্লোড় পরিত্যাগ করে নবিজীর সিরাতের আলোচনা বাড়িয়ে দেই। উঁনার জীবনী নিয়ে গবেষণায় সময় দেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন