শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

নতুন নতুন এন্ড্রয়েড ফোন এসেছে

 নতুন নতুন এন্ড্রয়েড ফোন এসেছে এলাকায়। নতুন এই ফোনের ফাংশনের সাথে সবাই অপরিচিত। আসার পর অনেকের ফোনের ফাংশন, সেটিং বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে দিত ফজলু।


একটা সময় এমন দাঁড়ালো, কোথাও গিয়ে আরাম করে বসতে পারতো না, কেউ না কেউ ফোন নিয়ে তার খুঁজে চলে আসতো। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা উপভোগ করতো, কিন্তু ধীরে ধীরে উপভোগ থেকে বিরক্তি ধরে গেল। এ যেন খ্যাতির বিরম্ভনা। এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাইতে লাগলো সে।


ফজলু একটা লম্বা সময় ধরে এলাকার বাইরে চলে গেল। ফিরে এসে দেখলো মুটামুটি সবাই এখন এন্ড্রয়েড ফোন চালায় এবং সবকিছুই ভালো করে বুঝে। তারপরও কেউ এসে যদি বলে, ভাই একটা ইমেইল আইডি করে দেন, ভাই অমুক এপ্স ইন্সটল হচ্ছে না, ভাই অই সেটিং করতে পারছিনা। তখন সে ছলনার করে, বিরম্বনা থেকে বাঁচতে  মিথ্যার আশ্রয় নেয়। যেমন, ভাই নতুন ফোনের এই ফাংশন গুলো এখন আমি আর বুঝতে পারিনা। কিংবা অনেকদিন ধরে ফোন চালাইনা তাই সবকিছু ভুলে গেছি। এধরনের মিথ্যা বলায় তাঁর কোনো আক্ষেপ থাকে না। 


এই ঘটনা বলার পেছনে একটা উদ্দেশ্য আছে, 

'ফজলু' নামের লোকের মতো বিরম্বনা আমাদেরও সবার জীবনে কম বেশী ঘটেছে। সে অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরাও কিন্তু ছোটখাটো বিষয়ে প্রচুর মিথ্যা কথা বলে ফেলি। আমাদের কাছে মনে হতে পারে এই মিথ্যা বললে তেমন কিছুই হবে না৷ এই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বেশী মাথাও ঘামাই না। আর একারণে অপরাধবোধও জাগে না।


একটা পাপ করে তার জন্য অনুতপ্ত না হওয়া মানে পাপটাকে প্রশ্রয় দেয়া। প্রশ্রয় পেয়ে তা বেড়ে যাবে বহুলাংশে। আর মিথ্যা কথা বলা 'মহাপাপ' সেটা সবাই জানি। মিথ্যা না বলে আমাদের অন্যভাবে সমাধান খুঁজতে হবে। কেউ যদি ফোন নিয়ে আপনার কাছে আসতে চায় আপনি তাকে এড়িয়ে যেতে পারেন। তার কথা না শুনে চুপ করে উঠে চলে আসতে পারেন সে যায়গা থেকে। আর কিছু না হোক একটা পাপ করা থেকে বেঁচে তো যাবেন।


— রুমাদ হোসেন 

@hussenrumad.bd



সারাবছর পড়ালেখা না করা ছেলেটা

 



সারাবছর পড়ালেখা না করা ছেলেটা পরীক্ষার আগের দিন যখন বই খুলে দেখে কিচ্ছু করার নেই। কোনো প্রিপারেশন নেই। তখন মনে মনে ভাবে, ইশ! পরীক্ষাটা যদি আরো কয়টা দিন পরে হত, তাহলে ভালভাবে প্রিপারেশন নিতাম। কিন্তু তার একার জন্য তো পরীক্ষার ডেট চেঞ্জ হবে না।


"মালাকুল মাউত" চলে আসার পর একদল লোক বলবে, 'আমারে আরো কয়টা দিন সময় দিলে ভালো হয়ে যেতাম।' আসলে প্রিপারেশন নেই বলে কিন্তু পার পাবেন না। দুনিয়ার সামান্য পরীক্ষা যেখানে আপনার প্রিপারেশন নেই বলে চেঞ্জ হবে না। সেখানে মৃত্যু তো জন্মের পূর্বেই নির্ধারণ করা হয়ে গেছে।


– রুমাদ হোসেন

আমরা কতটা বাক স্বাধীনতা ভোগ করতে পার‌ছি …?

 


আমরা কতটা বাক স্বাধীনতা ভোগ করতে পার‌ছি …?

.

কাল জুম'আর খুতবায় "কুরআনের পাখিকে" নিয়ে আলোচনা করায় দেখলাম অনেক আলেমকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সরকারি দলের রোষানলে পড়তে হয়েছে আরো অনেককে। বাকস্বাধীনতা এখানে বিলুপ্ত। 

.

একজন জননন্দিত আলিমের মৃত্যুতে "ইন্না-লিল্লাহ" পড়া তার মাগফিরাতের জন্য দুয়া করা মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তার জন্য প্রায় ১৭ জনকে একটা দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাকস্বাধীনতা এখানেও সোনার হরিণ।

.

বিখ্যাত অনেক ব্যক্তি হঠাৎ মারা গেলে তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহে করা যথেষ্ট স্বভাবিক। সন্দেহ করে পোস্ট করায়, সন্দেহের কারণ উল্লেখ করার কারণে যদি নিগ্রহের স্বীকার হতে হয়, তাহলে সেখানেও বাকস্বাধীনতা কোথায়?

.

দলীয় প্রধান ব্যাক্তিকে নিয়ে কিছু বললে তাকে সাথে সাথে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, রিমান্ড দেয়। 

কিন্ত, আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসুলুল্লাহ ﷺ -কে গালি দেওয়া ব্যক্তিকে প্রশাসনের লোক শাস্তি দিবে কি, কিছুই বলে না। এখানে এক পারসেন্টরও কম সেকু*লারদের বাক স্বাধীনতা দেখানো হয়। কিন্তু নব্বই পারসেন্ট মানুষের বাকস্বাধীনতার দাম নেই।

.

কে ক্ষমতায় যাবে ? কিভাবে যাবে এগুলো আলোচনা করতে আমরা আগ্রহী নই। আমরা আমাদের বাকস্বাধীনতা ফেরত চাই। ইসলামি হুকুমাত কায়েম হোক সে আশা করে যাই। 

.

ধন্যবাদ

.

— রুমাদ হোসেন

এক বুজুর্গ তার একটি গল্প শোনালেন

  


এক বুজুর্গ তার একটি গল্প শোনালেন:

.

একদা একদিন আমি মসজিদে শুয়ে আছি, এমন সময় একটি জানাযার নামায শুরু হলো। আমি জানাযায় শরিক হলাম। তারপর কবরস্থানে কবর দিতে গেলাম। যে মারা গেছে আমি তাকে চিনতাম না, কোনোদিন দেখিওনি।

.

কবর দেওয়া শেষ হলে বাকি সবাই কবরস্থান থেকে চলে গেলো শুধু আমি একা কবরের পাশে বসে রইলাম। এবং আল্লাহর কাছে বললাম: 

.

❝ হে আল্লাহ্, যে মেহমানকে এখন রেখে যাওয়া হচ্ছে তাকে আমি চিনিনা, সে যদি আমার কাছে আসতো আমি তার যথাযথ মেহমানদারী করতাম। আর এখন সে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু—এর মেহমান।❞

.

তারপর আমি আবার মসজিদে ফিরে এসে শুয়ে পড়লাম। এবং গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম….

.

স্বপ্নে দেখলাম, সাদা পোশাক পরিহিত এক লোক আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করছে, আপনি কি সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছে?

.

আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কে?

.

সে বলল: আমি-ই সেই লোক যাকে কবর দিয়ে এলেন এবং আপনার প্রর্থনা কবুল করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা আমাকে ক্ষমা করে উনার মেহমান বানিয়ে নিয়েছেন।

___
রুমাদ হোসেন
rumadhussen@gmail.com

আমি জন্মদিন পালনের বিপক্ষে

 


আমি জন্মদিন পালনের বিপক্ষে সে–ই প্রথম থেকে

.

শুধু যে নিজের জন্যে বিপক্ষে তা নয়। প্রত্যেক মানুষের জন্মদিন পালনের বিপক্ষে আমি

.

জন্মদিন পালন বেপারটা—ই কেমন যেন "অহেতুক" কাজ

.

ভাই, আমাদের জন্ম-ই হয়েছে মৃত্যুর প্রয়োজনে। আমরা সবাই একটা সময় বেঁধে নিয়ে এসেছি, সেটা হতে পারে ১০০ বছর, ৫০ বছর কিংবা ২৫ বছর। তার কাউন্টডাউনও শুরু হয়েগেছে...

.

আমার বয়স যত বাড়ছে আমি মৃত্যুদিকে তত এগিয়ে যাচ্ছি। তা নিয়ে শোকাহত হওয়ার কথা। আমার বেঁধে দেওয়া সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে...

.

ফুর্তি, পার্টি, কেক কাটা, হৈ-হুল্লোড় করে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?

.

মৃত্যু আপনার কাছে ভয়ের নয়

.

নাকি খোদ মৃত্যুকে অস্বীকার করবেন। অস্বীকার করতে তো পারবেন না। কারণ, আপনি অস্বীকার করলে—ই তো আর তা আটকে থাকবে না। আপনাকে বেঁধে দেওয়া সময় ফুরালে–ই তার চাক্ষুষ প্রমাণ পেয়ে যাবেন।

.

নবিজী ﷺ -এর জন্মদিন নিয়ে খুব হৈ-হুল্লোড় হয়।

.

কিন্তু নবী নিজে

কিংবা তার কোনো সাহাবী অথবা কোনো তাবেঈ

অথবা কোনো তাবে তবেঈ 

তাঁরা কেউ নবিজী ﷺ -এর জন্মদিন আয়োজন করে পালন করেছেন বলে কোনো বিশ্বস্ত তথ্য কোনো আলিম পাননি।

.

কিছু সূত্র থেকে জানা যায়, সাহাবীরা (রাদ্বি.) নবিজী ﷺ -এর জন্মদিন উপলক্ষে একসাথে বসে তাঁর সিরাত আলোচনা করতেন। উনার জীবনী অধ্যয়ন করতেন। 

.

তাদের অনুসারী হিসেবে আমাদেরও তো তাই করা উচিৎ

.

হৈ-হুল্লোড় পরিত্যাগ করে নবিজীর সিরাতের আলোচনা বাড়িয়ে দেই। উঁনার জীবনী নিয়ে গবেষণায় সময় দেই।

কীভাবে আমি হতাশ হতে পারি ?

 


 ১.

খুব অসুবিধার মধ্য দিয়ে কাটছে আমার দিন। জব নেই, কাজ নেই। বেকার যুবকদের যেসকল অবহেলার স্বীকার হতে হয় তার সবকিছুর স্বীকার অলরেডি হয়ে গেছি। খুব হতাশার জীবন পার করছি এখন।

.

পরিবার আছে। মা-বাবা, ভাই-বোনেরা সবাই আমার প্রতিষ্ঠিত হবার অপেক্ষায়। আর আমি তাদের হতাশ করে-ই চলছি বারবার। জব খুঁজছি। কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে ফেল করছি। একি গল্প বার-বার রিপিট হচ্ছে। হতাশাও বেড়ে চলছে…

.

২.

দোকানে নতুন এক কর্মচারী এসেছে। বয়স একুশ-বাইশ হবে। আমাদের ম্যানেজার চাচার পূর্ব-পরিচিত।

.

তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, 'বাড়ী কোথায়?'

খুব ক্ষোভ ও অভিমানের সুরে উত্তর দিলো, 'আমার কোনো বাড়ি-ঘর নেই।'

.

তার উত্তর শুনে আমার খটকা লাগায় ম্যানেজার চাচাকে জিজ্ঞেস করলাম, 'ঘটনা কি?'

.

চাচা যা বললেন তা অনেকটা এরকম,

সে এতিম। যখন অনেক ছোট ছিলো তখন বাবা-মা দু'জনই মারা গেছে। বড় হয়েছে চাচার কাছে। সেখানে অনেক নির্যাতিত হতে হয়েছে, শেষ-মেষ রাগে দুঃখে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে। এখন তাকে কেউ পরিচয় জিজ্ঞেস করলে বলে, 'তার কেউ নেই।'

.

পরিবার হারা একটা ছেলেকে চোখের সামনে যখন হাসিখুশি দেখি, তখন নিজেকে তার জায়গায় বসিয়ে চিন্তা করতে থাকি,

.

"কীভাবে আমি হতাশ হতে পারি?"

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

জ্ঞানীরা-ই উপদেশ গ্রহন করে…


 জ্ঞানীরা-ই উপদেশ গ্রহন করে…


    মহাজগতের অদৃশ্য বস্তু নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। সেই আদিমকাল থেকেই চলে আসছে অদৃশ্যকে দেখার প্রতিযোগিতা। কোনো এক গবেষণা পত্রে পড়েছিলাম মানুষ এই অত্যাধুনিক যুগে এসেও এতো এতো ক্ষমতাশীল যন্ত্রপাতি দিয়ে মহাবিশ্বের যতটুকু জানতে পেরেছে, দৃশ্যমান বস্তু দেখতে পারছে তা মাত্র ৫ পারসেন্ট, আর বাকী পঁচানব্বই ভাগ-ই এখনো জানার বাইরে। [১]


পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী নিউটনের শেষ কথা ছিল, ❝আমি জ্ঞান সমুদ্রের বালুকণার বেলায় দাঁড়িয়ে শামুক-ঝিনুক নিয়ে খেলা করেছিলাম, অথৈ জ্ঞানসমুদ্র অজানাই রয়ে গেল।❞ জগৎখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিসও বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ❝আমি একটি বিষয় জানি যে, আমি কিছুই জানি না।❞


আসলে মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সীমাবদ্ধ জ্ঞান দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ পাক যতটুকু ইচ্ছে করেন ততটুকুই মানুষ জানতে পারে এবং ততটুকুই তার পক্ষে জানা সম্ভব হয়।


আল্লাহ তা'আলা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, ❝তোমাদের (মানুষকে) অতি সামান্য জ্ঞান দেয়া হয়েছে।❞[২] আসলেই আমাদের জ্ঞানভাণ্ডার খুবই ক্ষুদ্র, আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দিয়ে যা-ই জানতে পারি না কেনো তা একটি বালুকণার দানার সমানও নয়।


আল্লাহ তা'আলা আরো বলেছেন,

❝নিশ্চয়ই এর মাঝে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।❞[৩] ❝যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদায় আরো উন্নতি দান করবেন।❞[৪] ❝যারা জানে (জ্ঞানী) এবং যারা জানে না (মূর্খ) তারা কি সমান? বোধশক্তিসম্পন্ন জ্ঞানী লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণকরে।❞[৫]

❝তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভূত কল্যাণকর বস্তুপ্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে, যারা জ্ঞানবান।❞[৬] 


❝প্রত্যেক জ্ঞানীর উপর আছেন এক মহাজ্ঞানী (আল্লাহ)।❞[৭]


এই আয়াতগুলো পড়ে আমরা সহজে উপলব্ধি করতে পারি, আল্লাহ আমাদেরকে জ্ঞান আহরণের দিকে উৎসাহিত করেছেন। যাতে সেই জ্ঞান দ্বারা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করতে পারি, এবং উনার উপদেশ গ্রহন করি।


❝হে আমার বর! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।❞[৮]


হে আল্লাহ! আমাকে তুমি যা শিখিয়েছ তা দিয়ে আমাকে উপকৃত কর, আমার জন্য যা উপকারী হবে তা আমাকে শিখিয়ে দাও এবং আমার ইলম (জ্ঞান) বাড়িয়ে দাও। সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা এবং আমি জাহান্নামীদের অবস্থা থেকে হিফাযাতের জন্য আল্লাহর নিকটে আশ্রয় প্রার্থণা করি।[৯]


(আমিন)


— রুমাদ হোসেন


——————————————————


সূত্র:


[১]

https://science.nasa.gov/astrophysics/focus-areas/what-is-dark-energy


https://www.britannica.com/science/dark-matter


https://www.google.com/amp/s/www.anandabazar.com/amp/science/scientists-working-hard-to-decipher-the-secrets-of-big-bang-theory/cid/1272472


https://www.dailynayadiganta.com/ampproject/islami-diganta/391870/%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D


[২] (সূরা বনি ইসরাইল ৮৫)

[৩] (সূরা হিজর-৭৫)

[৪] (সূরা মুজাদালাহ-১১)

[৫] (সূরা জুমার-৯)

[৬] (সূরা বাকারা-২৬৯)

[৭] (সূরা ইউসুফ-৭৬)

[৮] (সূরা তাহা-১১৪)

[৯] (জামে আত-তিরমিজি ৩৫৯৯)

বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২

গরু কিনা শেষ, খুব ভাব নিয়ে হাটছেন এ বছর থেকে আপনিও কুরবানী দিবেন।

গরু কিনা শেষ, খুব ভাব নিয়ে হাটছেন এ বছর থেকে আপনিও কুরবানী দিবেন।


কিন্তু খেয়াল করলে শোনতে পেতেন, আপনার পাশের ঘর থেকে বচ্চাদের কান্নার আওয়াজ আসছে…. খাবার নেই


এ বছর আপনি গরু কিনতে গিয়ে এক্সট্রা অনেক খরচ করে ফেলেছেন। তাই আর দান সাদকাহ করতে পারবেন না বলে মনস্থির করে নিয়েছেন। যে ভাই খুব কষ্টে সংসার চালান, এবং ঈদ এলে বাজারহাট করার খরচ যোগাতে ব্যর্থ হোন, কিন্তু প্রতিবছর ঈদের আগে আপনি তাকে যে পাঁচশ টাকা দিতেন তা দিয়ে তার বাজার হয়ে যেত। তা এবার হচ্ছে না।



কুরবানির জন্য অনুৎসাহী করার জন্য কথাগুলো বলছি না। কিন্তু আপনি যদি একটু কেয়ার ফুল হোন যে, এবার গরু কেনার সময় অবশ্যই এক্সট্রা খরচ করবেন না। যে টাকাটা এক্সট্রা খরচ করার জন্য রেখেছেন সেটা দান করে দিবেন। তাহলে আপনার পাশের ঘর থেকে বাচ্চাদের কান্নার বদলে হাসি শোনতে পাবেন।


আপনি কোরবানির পশু কিনতে গেলে কিছু টাকা সাদকাহ করার জন্য সরিয়ে রাখতে পারেন। পশু কেনার সময় এই কয়টা টাকা হয়তো তেমন প্রভাব ফেলবে না তবে অনেক সংসারের প্রয়োজনটুকুন মিটে যাবে, ইন শা আল্লাহ।


আল্লাহ সবাইকে সহিহ নিয়তে কোরবানি করার তাউফিক দান করুন।

বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২

আল্লাহর ভালবাসা পেয়ে গেলে দুনিয়ার সৌন্দর্য এবং রূপ তার কাছে মূল্যহীন।

একটি বিচিত্র প্রেমের গল্প বলতে এসেছি, শুনতে চান তো? তাহলে শুরু করা যাক,


এক দেশে একজন খুবই রূপবতী রাজকন্যা বাস করতো। সেই রাজকন্যার একমাত্র শখ ছিল নিজের টাকা খরচ করে একটি সুন্দর মসজিদ বানাবে। তার গয়নাগাটি যা ছিল সব বিক্রি করে দিল। মায়ের দেওয়া কিছু গয়না সহ আরো যা অলংকার ছিল সেগুলোও বিক্রি করে দিল। এতে যা টাকা হলো তা দিয়েই মসজিদের কাজ শুরু হলো। দেশ বিদেশ থেকে অনেক নামকরা মিস্ত্রি দিয়ে মসজিদ নির্মাণের কাজ চলতে লাগলো।


মসজিদের কাজের অগ্রগতি দেখতে রাজকন্যা একদিন মসজিদ ঘুরতে বেরুলেন। সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হলো। কোনো পুরুষ নেই তাই রাজকন্যা নিজের নেকাব খুলে বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরেফিরে মসজিদের সৌন্দর্য দেখতে লাগলেন। মসজিদের মিনারে তখন এক যোগালি ছেলে কাজ করছিল তাকে কেউ নামতে বলেনি। সে যখন নিচে নেমে দেখতে পেল অনেকগুলো পরী মসজিদে ঘুরছে। সে রাজকন্যার রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল। এক দেখাতেই সে রাজকন্যার প্রেমে পড়ে গেল। লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের চলে যাওয়া পর্যন্ত তাকে দেখতে থাকলো।


সেই যোগালি ছেলেটি উন্মাদের মতো নিজের বাসায় ফিরে গেল। তার মা তার এইরকম পাগল প্রায় অবস্থা দেখে উদগ্রিব হয়ে জানতে চাইলেন,  কি হয়েছে বাবা? সে  তার মাকে রাজকন্যার কথা খুলে বলল। বলল, সে রাজকন্যাকে বিয়ে করতে চায়। মা বললেন, কোথায় রাজকন্যা আর কোথায় তুমি? যোগালি তো নাছোড়বান্দা সে রাজকন্যাকেই বিয়ে করবে। তা না হলে মরে যাবে। মা পড়ে গেলেন মহাবিপদে।


ছেলেটির মা রাজদরবারে রাজকন্যার সঙ্গে দেখা করতে চলে গেলেন। রাজকন্যা ছিলেন অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির। রাজপ্রাসাদে যারাই আসেন সবার সাথে দেখা করেন। ছেলেটির মা রাজকন্যাকে পুরো ঘটনা খুলে বললেন। উত্তরে রাজকন্যা বললেন, আমি বিয়েতে রাজী। কিন্তু শর্ত হলো, আপনার ছেলেকে একটানা চল্লিশদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামায তো পরবেই সাথে তাহাজ্জুদ নামাজও পড়তে হবে। একদিনও বাদ দেওয়া যাবে না।


শর্ত শোনে ছেলেটি তো খুব খুশী। এ আর তেমন কি! ছেলেটি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে শুরু করলো। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তো। কারণ নামাযে দাঁড়ালেই রাজকন্যার মায়াবী মুখ ভেসে উঠতো। সে আরো আগ্রহ নিয়ে পড়তে আরম্ভ করলো। এভাবে চল্লিশদিন পূর্ণ হতে চললো। ছেলেটির মা তো বেজায় খুশী রাজকন্যার সাথে ছেলের বিয়ে হবে।


কিন্তু যেদিন চল্লিশদিন শেষ হলো,

ছেলেটি তার মাকে ডেকে বলল, তুমি রাজপ্রাসাদে গিয়ে রাজকন্যাকে বলে দিও আমি আর তাকে বিয়ে করতে চাই না। আমি তার রূপ দেখে সাময়িক সময়ের জন্য তার প্রেমে মজে গিয়েছিলাম। এখন আমি স্থায়ী প্রেমের সন্ধান পেয়ে গেছি। আর সে প্রেম হচ্ছে আল্লাহর প্রেম।




মা অবাক হয়ে ছেলের দিকে তাকিয়ে রইলেন, তার ছেলে যে নিজের হাতে নিজের পায়ে কুড়াল মারছে।


ছেলেটির মা রাজকন্যাকে গিয়ে সব বললেন। রাজকন্যা একটি হাসি দিয়ে বললেন, আমি জানতাম এমনিই ঘটবে। আল্লাহর ভালবাসা পেয়ে গেলে দুনিয়ার সৌন্দর্য এবং রূপ তার কাছে মূল্যহীন।


__________________________________


গল্পটি পড়েছিলাম "আতিক উল্লাহ (হাফি.)" এর একটি বইতে। গল্পের নাম "বিচিত্র প্রেম"। মূলভাবটা ধরে রেখে নিজের মতো করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।


https://www.facebook.com/rumadhussen

মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২

তোমাদের দুআর চেয়ে আল্লাহর দয়া অনেক বেশি

 ❝তোমাদের দুআর চেয়ে আল্লাহর দয়া অনেক বেশি!❞ — নবিজি (ﷺ)


মসজিদে ঢুকলেই দেখতে পেতাম লুঙ্গি-পাঞ্জাবী পড়া এক ভদ্রেকলোক একা একা বসে হাত তুলে দুআ করছেন। সুন্নাত শেষ করা মাত্র দেখলাম আবার একা দুআয় মগ্ন হয়ে আছেন। ফরজ জামআত শেষ করে আরেকবার সবার সাথে দুআয় সামিল হয়ে গেলেন। ফরজের পরের দুই রাকাআত সুন্নাত আদায় করে ফের দুআয় মগ্ন হলেন। তাকে এতো এতো বার দুআ করতে দেখে চিন্তায় পড়ে গেলাম। এই লোকের মনেহয় মাথায় কোনো সমস্যা আছে?


দুআয় যা চাওয়ার তা তো একবারে চেয়ে নিলেই হয়। বারবার কি দরকার? 


পরক্ষণেই মনে পড়লো, আমি যা ভাবছি তা অন্যায়। আগে তো যাচাই করে দেখা দরকার… 


খুঁজে পেলাম একটি হাদিস যেখানে,

আবূ সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, 'নবি (ﷺ) বলেছেন,


❝যদি কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে এমন দুআ করে, যার মাধ্যমে কোনো গুনাহের ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের বিষয় নেই, তা হলে আল্লাহ তাকে তিনটি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো একটি বিষয় অবশ্যই দেবেন—


১. হয়তো তাড়াতাড়িই তার দুয়া কবুল করা হবে, অথবা 

২. আখিরাতে তার জন্য এটিকে জমা করে রাখা হবে, অথবা 

৩. তার কাছ থেকে এর সমপরিমাণ কোনো বিপদাপদ দূর করে দেওয়া হবে।❞


সাহাবায়ে কেরাম বলেন, ❝ তা হলে তো আমরা বেশি বেশি দুআ করব!❞

নবি (ﷺ) বলেন, ❝তোমাদের দুআর চেয়ে আল্লাহর দয়া অনেক বেশি!❞ [১]



আমি বুঝতে পারলাম লোকটা পাগল নয়, বরং আমরাই পাগল। আলসেমি করে একবার হাত তোলে দুআ করে ভাবি, সব বুঝি চাওয়া হয়েগেছে, আল্লাহ দুআ কবুল করলেই হয়। 


কিন্তু একবার শেষ করে আবার দুআ করার ইচ্ছে করিনা, এটা আমাদের দূর্ভাগ্য।


শয়তান আমদেরকে খুব সহজ একটি আমল থেকে সবসময় বিরত রাখে।


জীবনে সফল হতে হলে দুআর সংখ্যা বাড়িয়ে দিন। ভিক্ষুক যেভাবে ভিক্ষার জন্য বারবার হাত পাতে সেভাবে বারবার আল্লাহর কাছে আমাদের হাত পাততে হবে।


হে আল্লাহ আমাদের তাওফিক দেন..


———————————————


[১] আহমাদ, আল-মুসনাদ, ১১১৩৩

নতুন নতুন এন্ড্রয়েড ফোন এসেছে

  নতুন নতুন এন্ড্রয়েড ফোন এসেছে এলাকায়। নতুন এই ফোনের ফাংশনের সাথে সবাই অপরিচিত। আসার পর অনেকের ফোনের ফাংশন, সেটিং বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে...